কোলমিন্ট সফটজেল ক্যাপসুল

 কোলমিন্ট

সফটজেল ক্যাপসুল

পিপারমিন্ট অয়েল ১৮৭ মি.গ্রা.

উপাদান

কোলমিন্ট প্রতিটি সফট জেল ক্যাপসুলে আছে ১৮৭ মিলিগ্রাম পিপারমিন্ট অয়েল।

বর্ণনা:

মেম্বা পিপেরিটার কাঁচা কিংবা শুকনাে পাতা থেকে তৈরী হয় পিপারমিন্ট। ব্যবহৃত শুকনাে পাতা অবশ্যই ১.২% (মি.লি./গ্রাম) এবং কাঁচাপাতা অবশ্যই ০.৯% এর কম উদ্বায়ী তেল সমৃদ্ধ হওয়া যাবে না। পিপারমিন্ট পাতা এবং পিপারমিন্ট অয়েল উভয়ই ইউ.এস. ন্যাশনাল ফর্মুলারীতে অন্তর্ভুক্ত এমনকি পিপারমিন্ট ওয়াটার এবং পিপারমিন্ট স্পিরিটও ইউনাইটেড স্টেটস্ ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত (ইউএসপি ২০০২)। ইউনাইটেড স্টেটস পিপারমিন্ট অয়েল উৎপাদনকারীদের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। এরা বছরে ৪,০০০ মেট্রিক টনেরও বেশী পিপারমিন্ট অয়েল উৎপাদনে সক্ষম।

ফার্মাকোলজি:

কোলমিন্ট (পিপারমিন্ট অয়েল) আই বি এস সংক্রান্ত যে কোন পেটের সমস্যা নিরসনে কার্যকর। এর রিলাক্সেন্ট এবং এন্টিস্পাসূমােডিক ক্ষমতা অন্ত্ৰীয় যে কোন সমস্যায় বৃহদান্ত্র এবং কোলনকে স্বাভাবিক রাখে। কোলমিন্ট (পিপারমিন্ট অয়েল) পেট ফাঁপার অস্বস্থিকর অনুভূতি রােধ করে এবং বাওয়েল গ্যাস নিঃসরণে সহায়তা করে, পেটের জমাট বদ্ধভাব এবং ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে।

ব্যবহার

  • ইরিটেবল বাওয়ে সিন্ড্রোম

  • ফাংশনাল ডিসপেপসিয়া

  • অ্যাবডােমিনাল পেইন।

  • অ্যাবডােমিনাল ডিসটেনশন/ব্লোটিং।

কিভাবে কাজ করে

পিপারমিন্ট অয়েলে অবস্থিত উদ্বায়ী তেল, ফ্ল্যাভনয়েডস্ এবং ফেনলিক এসিড এর কার্যকারিতার মূল উৎস। কিছু স্টাডিতে বলা হয়, এটি ইসােফেজিয়াল স্ফিংটারকে শিথিল করে বিধায় কারমিনেটিভ হিসাবে কাজ করে। এর উদ্বায়ী তেল পেশী কোষে ক্যালসিয়ামের প্রবেশ রুদ্ধ করে মসৃন পেশীর সংকোচন রােধ করে এবং এভাবে এন্টিস্পসমােডিক ইফেক্ট দেয়। পিপারমিন্ট ব্রাশ বর্ডার মেমব্রেনে সরাসরি কাজ করে এন্টেরােসাইটের গুকোজ সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়। এটি মিউকোসাল গুকোজের কার্যকারিতা না কমিয়েই সেরাস মেমব্রেনের অ্যাসিটাইলকোলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হ্রাস করে। এভাবে ক্যালসিয়ামের নিয়মিত অনুপস্থিতি অন্ত্রের মসৃণ পেশীগুলােকে। শিথিল করতে সাহায্য করে।

মাত্রা ও সেবনবিধি

প্রাপ্ত বয়স্ক: এক গ্লাস পানিসহ ১টি করে ক্যাপসুল দিনে ৩ বার। এই মাত্রা সর্বোচ্চ দিনে ২টি ক্যাপসুল ৩ বার কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়ানাে যেতে পারে।

শিশু: ১৫ বছরের কম বয়সী রােগীদের ক্ষেত্রে কোলমিন্ট শুধুমাত্র আবশ্যকতার ভিত্তিতে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

‘কমিশন ই’ - এর মতে এর তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

নিষেধাজ্ঞা

অ্যাক্লোরহাইড্রিয়া আক্রান্ত রােগীদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা নিষেধ। এমনকি শিশু এবং ছােট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জিহ্বা এবং শ্বসনতন্ত্রের সংকোচন সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকাটাই সমীচীন।

সাবধানতা

খাবারের সাথে কিংবা খাওয়ার ঠিক পর পরই এটি খাওয়া যাবে না। খাওয়ার আধঘন্টা থেকে এক ঘন্টা আগে খেতে হবে। অল্প পানির সাথে পুরােটা খেতে হবে। কোন মতেই ক্যাপসুল চিবানাে কিংবা ভাঙ্গা যাবে না।

গর্ভকালীন এবং স্তন্যদানকালীন ব্যবহার

কোলমিন্ট গর্ভাবস্থায় কিংবা স্তন্যদানকালে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেমন কোন বাধা আছে বলে জানা যায় না।

সংরক্ষণ

সরাসরি সূর্যালােক থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন,৩০° সে তাপমাত্রার নিচে রাখুন, ফ্রিজে। রাখবেন না।

সরবরাহ

কোলমিন্ট প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ৩০টি সল্ট জেল ক্যাপসুল।

প্রস্তুতকারক –

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড

হারবাল ডিভিশন

বিসিক, পাবনা, বাংলাদেশ

TM - ট্রেডমার্ক।


Post a Comment

Previous Post Next Post