কলিকন ডাইসাইক্লোভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড

 কলিকন

ডাইসাইক্লোভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড

উপাদান

কলিকন ট্যাবলেট : প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে ডাইসাইক্লোভেরন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ১০ মি গ্রা, । কলিকন® সিরাপ : প্রতি ৫ মি.লি. সিরাপে আছে ডাইসাইক্লোভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ১০ মিগ্রা.।

কলিকন ইঞ্জেকশন: প্রতি ২ মি.লি. ইঞ্জেকশণে আছে ডাইসাইক্লোভােরন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ২০ মি গ্রা, ।

বিবরণ

কলিকন® (ডাইসাইক্লোভেরিন হাইড্রোক্লোরাইড) একটি এন্টিস্পাজমােডিক এবং এন্টিকোলিনার্জিক উপাদান। কলিকন® পরিপাকযন্ত্রের মসৃন পেশীর সংকোচনজনিত ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। ইহা পরিপাকযন্ত্রের অনৈচ্ছিক পেশীতে অবস্থিত কোলিনার্জিক নামের সুনির্দিষ্ট রিসেপ্টরের উপর কাজ করে। এই সব রিসেপ্টরের সাথে সংযুক্ত হয়ে কলিকন® শরীরে প্রস্তুত কিছু রাসায়নিক উপাদানকে রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত হতে বাধা দেয়। ইহা পরিপাকযন্ত্রের পেশীকে শিথিল করে এবং পরিপাকযন্ত্রের সংকোচনের ফলে উদ্ভুত ব্যথা দূর হয়। ইহার সরাসরি মাসকিউলােট্রপিক কার্যকারিতা আছে বলে প্রমান পাওয়া যায়।

নির্দেশনা

  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (ডায়রিয়া জনিত)

  • ইনফেনটাইল কলিক

  • পরিপাকযন্ত্রের স্পাজম

  • ডাইভারটিকুলাইটিস

  • অ্যাবডুমিনাল কলিক

  • ডায়রিয়া

  • ডিসেন্ট্রি

সেবনমাত্রা

প্রাপ্তবয়স্ক : ১০-২০ মি.গ্রা. দিনে তিন থেকে চার বার। অনুমােদিত সর্বোচ্চ মাত্রা দৈনিক ১৬০ মি.গ্রা. বিভাজিত মাত্রায় খেতে হবে।

শিশু : ৬ মাসের উপরের বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে ৫-১০ মি.গ্রা. দিনে৩ বার খেতে হবে। আইএম ইঞ্জেকশন: অনুমােদিত সর্বোচ্চ মাত্রা দৈনিক ৮০ মি.গ্রা. ইন্ট্রামাসকুলার পথে ৪ বারে দিতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

নিদ্রাহীনতা, মাথা ব্যথা, দূর্বলতা, বিভ্রান্তি, চোখে চাপ বৃদ্ধি, ইউরিনারী হেসিটেন্সী, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি।

সাবধানতা

যাদের আটোনমিক নিউরােপ্যাথী, লিভার ও মূত্রনালীর অসুখ, আলসারেটিভ কলাইটিস, করােনারী হৃদরােগ, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিওর, কার্ডিয়াক ট্যাকিঅ্যারিথমিয়া, প্রােস্টাটিক হাইপারট্রফি আছে তাদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

প্রতি নির্দেশনা

  • অবস্ট্রাকটিভ ইউরােপ্যাথী

  • পরিপাকতন্ত্রের অবস্ট্রাকটিভ অসুখ

  • জটিল আলসারেটিভ কলাইটিস

  • অতিরিক্ত রক্তপাত জনিত হৃদযন্ত্রের অসুস্থতা

  • গ্লুকোমা • মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিস

  • ডাইসাইক্লোভেরিন। অথবা অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা ৬ মাসের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

গর্ভাবস্থায় বি ক্যাটাগরীভুক্ত। গর্ভবতী প্রাণীর উপর প্রয়ােগ করে দেখা গেছে যে, এই ওষুধের জ্বণের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। গর্ভাবস্থায় এটি অন্যান্য ওষুধের মত কেবল সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়ােজন হলেই ব্যবহার করা উচিত। ওষুধটি বুকের দুধে নিঃসৃত হয়। স্তন্যদানকারী মায়ের ক্ষেত্রে ডাইসাইক্লোভেরিন ব্যবহার করা যাবে না।

ড্রাগ ইন্টার্যাকশন

নিম্নের ওষুধগুলাে ডাইসাইক্লোভেরিনের কিছু ক্রিয়া অথবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াকে বাড়াতে পারে- অ্যান্টিঅ্যারিথমিক, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিসাইকোটিক, বেনজোডায়াজেপিন, এম.এ.ও. ইনহিবিটর, নারকোটিক অ্যানালজেসিক, নাইট্রেট ও নাইট্রাইটস, সিমপ্যাথােমিমেটিক ওষুধ, ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অন্যান্য ওষুধ যাদের এন্টিকোলিনার্জিক কার্যক্ষমতা আছে।

মাত্রাধিক্য

কদাচিৎ ডাইসাইক্লোভেরিনের মাত্রাধিক্য ঘটে। মাত্রাধিক্যের উপসর্গগুলাে হলাে মাথা ব্যথা, বমি-বমি ভাব, গরম ও শুষ্ক ত্বক, মাথা ঘুরা, মুখের ভিতর শুকয়ে যাওয়া, কিছু গিলতে সমস্যা হওয়া এবং উত্তেজনা।

সংরক্ষণ

কলিকন ট্যাবলেট: আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। কলিকন সিরাপ: আলাে থেকে দূরে, ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। কলিকন ইঞ্জেকশন: আলাে থেকে দূরে, ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন।

সরবরাহ

কলিকন ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ১০০টি ট্যাবলেট ব্লিস্টার প্যাকে। কলিকন সিরাপ: প্রতিটি বােতলে রয়েছে ৫০ মি.লি. সিরাপ। কলিকন ইঞ্জেকশন: প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ১০টি এ্যাম্পুল ব্লিস্টার প্যাকে।

প্রস্তুতকারক:

SQUARE

ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেড

বাংলাদেশ

® রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক


Post a Comment

Previous Post Next Post